ভালবাসা কি জিনিস আজও বুঝলামনা।
ভালবাসা কি কাশ্মীরের গোলাপ ফুল? কাশ্মীরের গোলাপ হলেতো সে হাসত।সেতো হাসেনা।
ভালবাসা কি মিশরীয় নারী? মিশরীয় নারী হলেতো সে দুচোখ মেলে তাকিয়ে থাকত।সেতো তাকায়না।
ভালবাসা কি পদ্ম গোলাপ? পদ্ম গোলাপ হলেতো সে লাল হাসি হাসত।সেতো লাল হাসি হাসেনা।
ভালবাসা কি দূর আকাশে উঠা হঠাৎ একটি তারা? সেটি হলেতো তার ঝরে পড়ার সম্ভাবনা থাকত।সেতো ঝরে পড়েনা।
তাহলে ভালবাসা কি?
ভালবাসা আসলে এমন জিনিস যা কখনও পাওয়া যায়না, ভালবাসার সাধনা কেউ করেনা।
ভালবাসার সাধনা কি করেছিল লাইলী? ভালবাসার সাধনা কি করেছিল মজনু? ভালবাসার সাধনা কি করেছিল শিরি? ভালবাসার সাধনা কি করেছিল…….? না তারা কেউ ভালবাসার সাধনা করেনি।তারা আসলে একটি মোমবাতির সাধনা করেছিল যে মোমবাতি নিভু নিভু করে জ্বলে।
শুনেছি ক্লিওপেট্রা নাকি ভালবাসার জন্য জীবন দিয়েছিল।আসলে ক্লিওপেট্রা জীবন দিয়েছিল কোন একটি দূর্বাঘাসের জন্য।
আজ যে ভালবাসি বলছে কাল সে বলবেনা, কাল যে ভালবাসি বলবে পরশু সে বলবেনা।
শুধু ভালবাসি আমি সেই আমাকে কেউ ভালবাসেনা। আমাকে সবাই বলে, দূর, দূর, দূর!এমন কেন হল সেটাই প্রশ্ন।এমন না হলেতো অনেক ভাল হত।শুনেছি চন্ডীগড়ে এক লোক বাস করে ভালবাসা বিশেষজ্ঞ। তার কাছে যাব।সে যদি উত্তর দেয় বলব,’তোমার মত ধন্য কেউ নয়, তুমি আবার একবার জন্মাও’।
ভালবাসার জন্য একটি মৃত কাক চোখ মেলে তাকিয়েছিল।ভালবাসা না পেয়ে সে চুপসে গেছে। আমি তাকে বলেছি,তুমি চন্ডীগড়ের লোকটির কাছে যেয়ো সে তোমাকে নিশ্চয়ই কোন না কোন সমাধান দিবেন।
চন্ডীগড়ের লোকটির কাছে এক লোক তিন বার এসে ফিরে গিয়েছেন।শেষ পর্যন্ত ৪র্থ বার তিনি সমাধান পেলেন।সমাধান পেয়ে তিনি বললেন, এতদিনে কিছু পেয়েছি।
যারা ‘ভালবাসি’ কি জিনিস আজও বুঝনা তারা আমার কাছে এসো।আমি ভালবাসার ধারাপাত ভাল করে বুঝিয়ে দেব।সেখানে অ,আ,ক,ক,খ… পূর্ণাঙ্গ রূপে থাকবে।
ভালবাসা কি জিনিস বুঝতে হলে তুমি চেঙ্গিস পাদ্রী
জুরাইনের কাছেও যেত পার।তিনিও ভালবাসা ভাল বুঝেন।
এই যে নদী সে শুধু বয়ে চলে আর বয়ে চলে। বইতে বইতে একদিন ছত্তিসগড় গিয়ে উঠবে। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে ভালবাসা কি জিনিস।
তাকে বলবে, ভালবাসা হল তা যা তুমি এতক্ষণ হেঁটে এসেছ।
ভালবাসা ভালবাসা করে কেঁদেছিল একটি শূকর। শেষ পর্যন্ত একটি কুকুর এক চিমটে রুটি এনে তাকে দিয়েছিল।সেটা পেয়ে সে বলেছিল, ভালবাসা হলে তুমি।
ভালবাসার জন্য মিসেস সুবলা মহান তিনদিন তিনরাত কেঁদেছিল।শেষ পর্যন্ত না পেয়ে ‘ধুর ছাই’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল।
সোনা বিক্রেতা কসম আলী একদিন বাজারে গিয়ে দেখলেন সোনা নাই। শেষ পর্যন্ত তিনি কিছু ভালবাসা কিনে এনেছিলেন। সেগুলো সে তার সিন্ধুকে ভরে রেখেছিলেন।
ভালবাসাকে নিয়ে একদিন গহীন অরণ্যে বেড়াতে গিয়েছিল তমাল।সে বলে, তুমি এখানে আমাকে কেন আনলে? বলে,তোমার সাথে বিশেষ কিছু কথা আছে।
ভালবাসাকে নাচতে দেখলাম পথের ধারে আমি বললাম, এখানে নাচ্চ কেন? সে বলে, এখানে নাচাই আমার কাজ।
ভালবাসা’ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। কেউ বলেছে, ভালবাসা এটেল মাটি, কেউ বলেছে, বেলে মাটি, কেউ, দোআঁশ মাটি।সবচেয়ে বেশি টিকে আছে দোঁআশ মাটি।
ভালবাসা নাকি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে পাওয়া যায়।আমি একদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম,কিছুই মেলেনি।
আসলে ভালবাসাকে কোন সঙ্গায় সঙ্গায়িত করা যায় কিনা জানা নেই। ভালবাসাকে অনেকে কোদাল দিয়ে কোপাতে গিয়েছিল। না পেয়ে ফিরে এসেছে।
ভালবাসাকে একদিন বলব, ‘সময় করে একদিন তুমি আমার অফিসে দেখা কোরো, তোমার সাথে কিছু কথা আছে’।
সে যদি আসে বিস্তারিত আলোচনা করবঃ সে খায় কিনা, ঘুমায় কিনা, নাচে কিনা এসব আলোচনা করব। যদি সদুত্তর পাই নিশ্চয়ই কিছু না কিছু হবে।
রেবেকা বানু রোজ রাতে স্বপ্ন দেখে তার স্বামী আসবে। তার স্বামী গতকাল এসেছে। সে তার কাছ থেকে ভালবাসা সম্বন্ধে কিছু জেনেছে কিনা জিজ্ঞেস করব।
আসলে ভালবাসা নিয়ে এত যে মাথা ঘামাই শেষ পর্যন্ত মাথাটাই পাগল হয়ে যাবে। তারচেয়ে ভালবাসাকে ভালবাসার জায়গায় থাকতে দেওয়া উচিত।