বাংলাদেশে ধলা নামে সুন্দর একটি গ্রাম ছিল আর ওই গ্রামেই বসবাস করত একটি ছেলে আর সেই ছেলেটির নাম ছিল আরাফ হাসান, ছেলেটির ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল বড় কিছু করার কিন্তু সে এটা ভালোভাবেই জানতো যে সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে কারণ সে এটা ভালোভাবেই জানতো সে একজন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান. তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছিল ৮ জন দাদা দাদি নানি মা বাবা আর ছিল তাকে নিয়ে 3 ভাই 2 বোন. ভাই বোনের মধ্য সে ছিল 3 নাম্বার তার বড় ছিল দুই ভাই এবং ছোট ছিল দুই বোন.।
ছোটবেলা থেকে সবাই তাকে অনেক ভালোবাসতো.। সবার ইচ্ছা ছিল তাকে কওমি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করানোর।
তার বয়স যখন আট বছর হয় তখন তাকে কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি করে প্রায় আট বছর কওমি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে পড়ে সে আলিয়া মাদ্রাসায় ক্লাস ৮ ভর্তি হয় সেখানে সে ৩ বছর পড়ালেখা করে এসএসসি পরীক্ষা দেয় সেখানে সে এক বিষয়ে ফেইল করে।
পরিবারের সবাই তাকে না করেছিল আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি না হতে কারণ সবার ইচ্ছে ছিল শেষ পর্যন্ত সে জেন কওমি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে কিন্তু সে কারো কথায় শুনেনি ।
কারণ তার ইচ্ছে ছিল অন্য কিছু করার। কিন্তু তখনও তার পরিবার তাকে সাপোর্ট দেয় ঠিক আছে তুই যা করতে চাস তাই কর এসএসসি পরীক্ষাটা ভালো করে দিয়ে একটা ভালো রেজাল্ট কর, যে কোন একটা সরকারি চাকরিতে ঢুকাইয়া দিবনে ।
সেটা আর হয়ে ওঠেনি কারণ সে পরীক্ষাই এক বিষয়ে ফেল করেছিল তখন সে অনেক টা ভেঙ্গে পড়ে আর সে মনে মনে ভাবতে থাকে সে কি করবে তার স্বপ্ন পূরণ ব্যর্থ হবে কিনা ।
কিন্তু সে কখনো হাল ছাড়ে নি তার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে সে একদিন সফল হবে তার শুধু এতটুকু চিন্তা ছিল যে তার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে । তখন তার মাথায় একটা আইডিয়া আসে সে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখবে কিন্তু তার কাছে মোবাইল ছিল না ল্যাপটপ ছিল না।
তখন সে তার বড় 2 ভাই কে বলে যে একটা ল্যাপটপ কিনে দিতে তখন তার দুই ভাই মিলে একটা ল্যাপটপ কিনে দেয় । তার বড় দুই ভাই চাকরি করতো এক ভাই ছিল দোকানের ম্যানেজার আরেক ভাই গার্মেন্টসে চাকরি করতো। তখন সে ল্যাপটপ হাতে পেয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে শুরু করে দেই ।
আর সেই সুযোগে ফেসবুকে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় আর সেই মেয়েটির নাম ছিল। ইসরাত জাহান নুপুর । আর সেই মেয়েটি ছিল মেডিকেল কলেজের ছাত্রী।
মেয়েটির বাড়ির ছিল ঢাকা ,তার পরিবার ছিল অনেক প্রভাবশালী, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছিল 7 জন তার পরিবারে ছিল দাদা দাদি মা বাবা 2 ভাই আর সে- ছিল একা ।
তখন থেকে তার সাথে কথা শুরু হয়, শুরুতে তারা বন্ধু হিসেবে কথা বলত পরে ধীরে ধীরে তারা আরো ক্লোজ হতে থাকে আর সেই সাথে তাদের ভালোবাসাও বারতে থাকে কিন্তু একে অপরকে বলতে পারতেছিল না যে একে অপরকে ভালবাসে, এভাবে প্রায় এক বছর কেটে যায় কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারেনা যে একে অপরকে ভালোবাসে ।
কিন্তু ছেলেটা কিছুটা বুঝতে পারতেছিল যে মেয়েটা থাকে চায়, কিন্তু তার মনে একটাই ভয় ছিল কারণ সে ছিল মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান সেটা কখনো সম্ভব না ।
কিন্তু সে মেয়েটাকে পরীক্ষা করার জন্য একদিন ছেলেটা বলে যে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, সেদিন সে মেয়েটা অনেক কষ্ট পায় এবং অনেক কান্না কাটি করে, আর বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি ।
তুমি কি সেটা একদিনও অনুভব করুনি তখন সেই ছেলেটি বলে আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো কিন্তু এটা কখনো সম্ভব না, তখন মেয়েটা বলে কিন্তু কেন, তখন ছেলেটি বলে কারণ আমি একজন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলে তোমার ফ্যামিলি আমাকে কখনো মেনে নিবে না।
মেয়েটি বলে সেটা নিয়ে তোমার চিন্তা করার দরকার নাই সেটা আমি বুঝবো তোমার কিছু হলে আমি ও বাঁচবো না, বাঁচলে দুইজন একসাথে বাঁচবো মরলে দু’জন একসাথে মরবো, তখন সেই মেয়েটি বলে তোমার তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে , তখন ছেলেটি বলে আমার বিয়ে ঠিক হয় নাই।
আমি তোমাকে পরীক্ষা করার জন্য এই কথা টি মিথ্যা বলেছিলাম, এই কথা শুনে মেয়েটি অনেক খুশি হয়, আর তখন থেকে তাদের নতুন আরেকটি অধ্যায় শুরু হয় আর সেটার নাম হল ভালোবাসা,আর তখন থেকে তারা একে অপরকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসতে শুরু করে, এভাবে আরও প্রায় দুই বছর তাদের ভালোবাসা চলে ।
পরে মেয়েটি তার পরিবারকে জানাই যে আমি একটা ছেলেকে ভালোবাসি আর তাকে বিয়ে করতে চাই, তার পরিবারের লোকজন জানতে চাই ছেলে কি করে এবং বাড়ি কোথায় এবং মা-বাবা কি করে, তখন মেয়ে বলে বাড়ি ধলা আর তার বাবা একজন কৃষক।
আর ছেলে সে বাড়িতেই তাকে ফ্রিল্যান্সারের কাজ করে তার এক বড় ভাই একটা দোকানের ম্যানেজার এবং আরেক ভাই গার্মেন্টসে কাজ করে এবং তার ছোট দুই বোন আছে তারা স্কুলে পড়ালেখা করে, প্রথমে মেয়েটির পরিবার রাজি হয়নি পরে মেয়ে বলে আমি ওকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করব না।
কাউকে যদি বিয়ে করতে হয় তাহলে আমি ওকেই বিয়ে করব, আর যদি জবরদস্তি করো তাহলে আমি মরে যাবো তারপরও কাউকে বিয়ে করব না, এই বিষয় নিয়ে তাদের ফ্যামিলিতে অনেক অশান্তি শুরু হয় এভাবে প্রায় এক মাস চলে , সবশেষে পরে তারা হাসিখুশিতেই মেনেই।
কারণ সে ছিল একমাত্র মেয়ে তার কষ্ট আর সইতে পারতেছিল না তার পরিবার, পরে তাদের দুই পরিবার মিলে জাকজমক করে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়।
তারপর থেকে তাদের নতুন জীবন শুরু হয়, বিয়ের পর আরাফ হাসান সে তার গ্রামের বাড়িতেই থাকতো, এবং ইসরাত জাহান নুপুর সেও তার সাথেই থাকতো আর প্রতি মাসে ১০ দিন ইসরাত জাহান নুপুর সে তার আব্বু আম্মুর সাথে থাকতো এবং আর সেই 10 দিন তার মেডিকেল চেম্বারে বসত।
আর আরাফ হাসান সেও তার শ্বশুরবাড়িতে প্রতিমাসের পাঁচদিন থাকতো, কারণ সে ইসরাত জাহান নূপুরের ভায়ের কাজে তাকে হেল্প করত কারণ তার বাবার শারীরিক সমস্যা ছিল ওই জন্য সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য তার ভাই দেখাশোনা করতো, আর তাকেই সে সাহায্য করতো, এভাবে প্রায় দুই বছর কাটে।
পরে আরাফ হাসান এবং ইসরাত জাহানের ঘর আলো করে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে, ছেলের নাম রাখা হয় মাহতি হাসান, সে তার নানার বাড়িতে বেশি ভাগ থাকতো।
এভাবে আরো প্রায় চার বছর কেটে যায়, আরাফ হাসানকে অনেক সময় ইসরাত জাহান নুপুরের পরিবারের লোকজন বলত যে তাদের সাথে থাকতে কিন্তু সে রাজী হয় নাই , কারণ তার ঢাকা শহরে ভালো লাগত না, সে বলেছিল যে আমি প্রতিমাসে ৪-৫ দিন থেকে কাজ করে দিয়ে যাব।
কারণ আরাফ এবং ইসরাত জাহানের বিয়ের পর থেকে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য আরাফ হাসানের পরামর্শে চলত কিন্তু তার জন্য সে কখনো তাদের কাছ থেকে একটা টাকাও নেয় নাই, সে বাড়িতে যে ফ্রিল্যান্সিংর কাজ করতো এবং তার স্ত্রী জা টাকাউপার্জন কত সেটা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট ছিল।
ছেলের বয়স যখন চার বছর হয় তখন তাকে ঢাকা একটি প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করে এবং তাকে তার নানা নিয়ে যেত নিয়ে আসতো, এভাবে তাদের পরিবার অনেক সুখী ছিল।
আরাফ হাসান এবং নুপুর তারা দুজনে গ্রামে থাকতো একজন থাকতো ২৫ দিন আরেকজন থাকতো 20 দিন , বাকি দিনগুলো তাদের সন্তানের সাথে থাকতো।
এবং সন্তানকে মাঝে মাঝে গ্রামে নিয়ে আসতো , এভাবে আরো তিন বছর কেটে যায়, হঠাৎ একদিন ইসরাত জাহানের ভাইয়ের সাথে একটু ব্যবসা বিষয় নিয়ে মত মালিন হয়, তখন ইসরাতের বড় ভাই একটু রাগ হয়ে যায়।
কিন্তু সেখানে আরাফ হাসান যা কাজ করত সেগুলো তো তাদের ভালোর জন্যই করত কারন সে কখনো কাজের বিনিময়ে টাকা নেই নি এমনকি বাড়িতে বসে থেকে ও সে তাদের অফিসের কাজ করে দিত, সে সব সময় চাইতো জেন তারা ভালো তাকে।
তারপর একদিন রাতে সবাই একসাথে ডিনার করতে বসে ওই সময় আরাফের ছেলে , ইসরাতের বড় ভাইকে বলে মামা আমারে একটা সাইকেল কিনে দিবা তখন রাগে তার মামা একটা চড় মারে এবং আরো বলে এতকিছু দিতে ছি আরো সাছ ।
সেখানে উপস্থিত ছিল আরাফ ও কিন্তু এই দিনের বিষয়টা ছিল ভিন্ন কারণ সকালে আরাফের সাথে কথা কাটাকাটির কারণে ওই রাগটা জমে ছিল, কারণ সে তার ভাগ্নেকে অনেক ভালোবাসতো অনেক আদর করত কারণ তাদের কোন সন্তান ছিল না তার মামি থাকে নিজের সন্তানের মত আদর করত, কারণ তখন তারা সবে মাত্র বিয়ে করেছিল, ওই কথা শোনার পর আরাফ কাউকে কিছু না বলে সে তার ছেলেকে নিয়ে রুমে ঢুকে যায় এবং ইসরাত ও তার পিছনে পিছনে রুমে ঢুকে যায় আর সে সমস্ত কাপড় গোছাতে শুরু করে।
সবাই তাদের কে তামাতে চেষ্টা করে, কিন্তু তারা তিনজনে ঘর থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে গ্রামের দিকে রওনা দিয়ে দেয়, তখন গাড়ির মধ্যে আরাফ ইসরাত কে বলে তোমার যদি মন চায় তাহলে তুমি তোমার বাবার বাড়িতে মাঝে মধ্যে ঘুরে যেতে পারো আমি কিছু বলবো না, কিন্তু তুমি কোনদিন আমাকে অনুরোধ করবে না যে চলো আমরা বাড়ি থেকে ঘুরে আসি, ইসরাত বলে আমি কোনদিন যাবনা যতদিন ভাইয়া তোমার কাছে ক্ষমা না চাইবে, তখন আরাফ বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, জানি আমার সাথে গিয়ে তুমি অনেক কষ্ট করবে, কিন্তু তুমি কথা দাও যতই কষ্ট হওক তুমি আমাকে ছেড়ে কোনদিন যাবে না।
তখন ইসরাত বলে তোমাকে যদি ছেড়ে যেতাম তাহলে তোমাকে কোনদিন বিয়ে করতাম না আর আজকে তোমার হাত ধরে এভাবে ঘর থেকে বের হয়ে আসতাম না, আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি, আর কষ্টের কথা তুমি চিন্তা করবা না আমি তো আছি, তখন ইসরাতের গর্ভে আরেকটি মেয়ে সন্তান ছিল, তখন তারা চিন্তা করে গ্রামে এসে একটা চেম্বার দিবে যেখানে ইসরাত মহিলাদের চিকিৎসা করবে , আর আরাফ বলে আমার একটা স্বপ্ন আছে যে আমি একটা মাদ্রাসা বানাবো যেখানে এতিম ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করবে।
তখন ইসরাত বলে আমার যতই কষ্ট হোক না কেন তোমার স্বপ্ন আমি পূরণ করে ছাড়বো, এভাবে দু’জন গ্রামে চলে আসে এসে একটি চেম্বার দেই ইসরাত যেখানে সে মহিলাদের চিকিৎসা করত, আর আরাফ হাসান সে তার ফ্রিল্যান্সিং কাজে আরও বেশি মনোযোগী হয়, তার পাশাপাশি সে কৃষি কাজও করতো, এবং তার ছেলেকে একটি স্কুলে ভর্তি করে, এভাবে কিছুদিন কেটে যায় ততদিনে তার মেয়ে ও জন্ম হয়, এভাবে প্রায় আরো 2 বছর কেটে যায় , ততদিন পর্যন্ত ইসরাতের পরিবারের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল না।
আরাফ তার পরিবার নিয়ে অনেক সুখে শান্তিতেই দিন কাটে যেখানে ছিল মা বাবা ভাই বোন সবাই, আর ততদিনে আরাফের স্বপ্ন একটু একটু করে পূরণ হতে থাকে সে তার স্বপ্নের মাদ্রাসার কাজ শুরু করে দেই , দীর্ঘ চার মাস সেই মাদ্রাসার কাজ চলে, এবং তার সাথে সাথে আরাফের স্বপ্নটাও পূরণ হয়, আর ততদিনে ইসরাতের বড় ভাই তার নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং সে তার পরিবার নিয়ে আরাফের বাড়িতে এসে আরাফের কাছে ক্ষমা চাই, আর ততদিনে ইসরাতের বড় ভাইয়ের একটি মেয়ে সন্তান হয়।
আর তার মধ্য ইসরাতের দাদি মারা যায়, সবাই অনেক কষ্ট পায়, তখন ইসরাত অনেক ভেঙ্গে পড়ে তখন আরাফ তাকে অনেক ভাবে সান্তনা দেয়, এভাবেই প্রায় তাদের বিবাহিত দশটা বছর কেটে যায় , হঠাৎ একদিন আরাফের সাথে ইসরাতের একটু ঝগড়া হয় তখন রাগ করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়, তখন আরাফ অনেক কষ্ট পায় অনেকটা ভেঙ্গে পড়ে।
এভাবে প্রায় দশ দিন কেটে যায় তখন আরাফ সময় মতো খাওয়া দাওয়া না করার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ে, তার বড় ভাই হাসপাতালে নিয়ে যায়, এই কবর ইসরাতের কানে যায় , তখন সে পাগলের মতো ছুটে আসে এবং আরাফের পাশে এসে বসে বলে তুমি পাগলের মতো এমনটা করলে কেন।
আমি তো বলেছিলাম যে বাঁচলে একসাথে বাঁচবো মরলে দু’জন একসাথে মরবো, তুমি তো সন্তানদের কথা একটু চিন্তা করতে পারতে, আমি না হয় একটু রাগ করেছিলাম তুমি তো আমাকে নিয়ে আসতে পারতে, তুমি সেটা করুনি উল্টা আমাকে আরো কষ্টের দিয়েছ।
তুমি কথা দাও আর কখনো এমন করবে না, তখন আরাফ বলে ঠিক আছে, তুমি ও কথা দাও আমাকে চেরে কোনদিন কোথাও যাবে না, ইসরাত বলে ঠিক আছে আমি ও কথা দিলাম আর এই ভাবেই বাকি টা জিবন কেটে যায়,, ।
এই ছিল আমার অফুরন্ত এক ভালোবাসার গল্প,, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে প্লিজ আমার ফেসবুক টা ফলো দিয়ে রাখেন, সামনে ভালো কিছু গল্প দেবার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ,,https://www.facebook.com/profile.php?id=100084689577446